জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ৬৪নং ইজারাপাড়া ফুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ভবনটি নির্মাণের ব্যয় বরাদ্দ সংবলিত কোনো সাইনবোর্ড সাঁটানো হয়নি।
জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবন নির্মাণে ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে। ভবনটির নির্মাণ কাজ পেয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস দীপা এন্টারপ্রাইজ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রোপ্রাইটার মো. মজনু মিয়া নিজেই কাজটির তদারকি করছেন।
গত বৃহস্পতিবার সকালে ভবনটির পিলারের বেজ ঢালাইয়ে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের সময় স্থানীয় এলাকাবাসীর বাধায় কাজটি বন্ধ করে দেয়। পরে মজনু মিয়া ভবন নির্মাণে কোন অনিয়ম করবে না মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঢালাই কাজ আবারও শুরু করে।
স্থানীয় এলাকাবাসী আল আমিন জানান, ভবনটি নির্মাণ হচ্ছে নিম্নমানের খোয়া, লাল বালুর পরিবর্তে দেয়া হচ্ছে সাদা বালু এবং নিম্নমানের পাথর দেয়া হচ্ছে। এভাবে ভবন নির্মাণ হলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিতে থাকবে।
আরিফ হোসেন জানায়, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ভবন নির্মাণ হলে তা কিছুদিনের মধ্যে ভেঙে পড়তে পারে। এ কারণেই আমরা বাধা দিয়েছি।
মেসার্স দীপা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মজনু মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিয়ম মেনেই ভবনের কাজ করছি। যেগুলো নিম্নমানের পাথরসহ অন্য সামগ্রী বিদ্যালয় মাঠে রয়েছে সেগুলো এখান থেকে সরিয়ে নেয়া হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অলকা দত্ত বলেন, বিদ্যালয়ে ভবনটির নির্মাণের কাজ উদ্বোধনের দিন ঠিকাদার বালুর সমস্যা করলেও ধরার পর বালু ঠিক করা হয়েছে এবং সঠিকভাবে কাজ করার অনুরোধ করা হয়।
উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে কোন প্রকার অনিয়ম করা যাবে না। যদি অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টিএইচ